টর্চলাইট ছাড়া একসময় কল্পনাই করা যেত না। তবে বর্তমানের অনেক শিশু-কিশোর এটা নাও চিনতে পারে। বিশেষ করে শহরের বাচ্চারা। তাই আগে টর্চলাইটের বর্ণনাই দিই। টর্চলাইট হচ্ছে হাতে বহনযোগ্য এক প্রকার বৈদ্যুতিক বাতি। টর্চলাইটে আলোর উৎস হিসেবে মূলত ছোট বৈদ্যুতিক বাল¡ বা আলোক বিচ্ছুরণ ডায়োড (এলইডি) ব্যবহৃত হয়। এতে বিদ্যুতের উৎস হিসেবে ড্রাই সেল ব্যবহার করা হয়। একটি সাধারণ টর্চলাইটের সচরাচর তিনটি অংশ থাকে- প্রতিফলক দ্বারা ঘেরা একটি লাইট বাল¡, ব্যাটারি ও একটি সুইচ। বর্তমানে টর্চলাইটগুলো বাল¡ বা এলইডি ব্যবহার করে তৈরি করা হয় এবং বিদ্যুতের উৎস হিসেবে একবার ব্যবহারযোগ্য বা বহুবার ব্যবহারযোগ্য (রিচার্জেবল) ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়াও কিছু কিছু টর্চলাইট সৌরশক্তি ব্যবহার করেও চালিত হয়।
প্রযুক্তির উন্নয়নে মানুষ এখন আর কোনো জিনিসের একটি ব্যবহারে সন্তুষ্ট নয়। যেমন- মোবাইল ফোনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অডিও-ভিডিও প্লেয়ার, রেডিও, ক্যামেরা ইত্যাদি; এমনকি টর্চলাইটও। সেখানে মানুষ কি আর আলাদা ডিভাইস হিসেবে শুধু টর্চলাইট ব্যবহার করবে? এটা তো ভাবাই যায় না। বরং এখন অনেক কিছুর সাথেই টর্চলাইট যুক্ত থাকে। সেটা হতে পারে চাবির রিং কিংবা কলম। সুতরাং শুধু টর্চলাইটের যে দিন শেষ সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তাই উইকেড লেজার নামক প্রতিষ্ঠান বাজারে ছেড়েছে ফ্ল্যাশটর্চ নামে অভিনব টর্চলাইট। সাদা আলোর এই লাইটে আলো হয় প্রচুর। একইসঙ্গে পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় তাপ। ফলে এই তাপ দিয়ে সহজেই করা যায় ছোটখাটো দরকারি রান্না। যেমন স্যুপ কিংবা ডিমের ওমলেট।
মূলত যারা ভ্রমণপিপাসু তাদের জন্য এই টর্চলাইট বেশ উপকারী হতে পারে। বিশেষ করে যারা পাহাড় বা বন-জঙ্গলে ভ্রমণ করেন তাদের জন্য এটি কার্যকর। মূলত এই লাইটকে সহজে বহনযোগ্য চুলা বা ভ্রাম্যমাণ চুলাও বলতে পারো। তা ছাড়া এর উজ্জ্বল আলো অনেক দূরের বা গভীরের দৃশ্যও সহজে দৃষ্টিগোচর করবে। ফ্ল্যাশটর্চে ৪১০০ ল্যুমেন আলো পাওয়া যাবে। এতে আছে খুব ভালো মানের বাল¡, যা প্রায় ২০০০ ঘণ্টা ধরে জ্বলবে। তা ছাড়া আছে পাওয়ারফুল ব্যাটারি। ওজন ৬১০ গ্রাম। ফলে সহজে বহনযোগ্য। আলো এবং তাপ একসঙ্গে পাওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে এর ভালো কদর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১০০ ওয়াটের ফ্ল্যাশটর্চের দাম ধরা হয়েছে ১৯৯ ডলার আর ৬৫ ওয়াটের ফ্ল্যাশটর্চের দাম ধরা হয়েছে ১৫৯ ডলার। তবে আমাদের দেশে পেতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।
0 Comments